আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করার নিয়ম | How to apply for Import/ Export Registration Certificate (IRC/ERC) in Bangladesh
ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট ( Import & Export ) লাইসেন্স যা সংক্ষেপে IRC / ERC আবেদন করতে হয় কি ভাবে, সে সম্পর্কে আজকের আলোচনাঃ
ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট লাইসেন্স প্রদান এবং নবায়ন এবং এ সংক্রান্ত রেগুলেটরি অথরিটি হলঃ
Office of the Chief Controller of Imports & Exports (CCI&E)
আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর-বাণিজ্য মন্ত্রণালয় / Office of the Controller of Imports and Exports, Dhaka
প্রথমে জেনে নিই কে বা কারা এই লাইসেন্স পেতে পারে-
কোন প্রোপ্রাইটরশিপ কনসার্ন বা একমালিকানাধিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,
কোন পার্টনারশিপ ফার্ম, বা
কোন লিমিটেড কোম্পানি
আমদানী এবং রপ্তানী লাইসেন্স দুইটা কিন্ত আলাদা লাইসেন্স এবং আলাদা ভাবে নিতে হয়, তবে প্রসেস একই রকম।
আমদানী বা রপ্তানী লাইসেন্স আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস দরকার হয়ঃ
1) ট্রেড লাইসেন্স দরকার হবে;
2) সংশ্লিষ্ট চেম্বার অফ কমার্স অথবা সংশ্লিষ্ট কোন স্বীকৃত ট্রেড এসোসিয়েশনের মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট দরকার হবে;
[যারা নতুন তাদের জন্য বলছি, চেম্বার অফ কমার্স হল ব্যবসায়ীদের সংগঠন, প্রত্যেক জেলায় একটি করে চেম্বার অফ কমার্স থাকে, আপনি নির্দৃষ্ট একটা ফিস দিয়ে সেখানকার সদস্য হতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন স্বীকৃত ট্রেড এসোসিয়েশন রয়েছে যেমন- গার্মেন্ট মালিক ও রম্পানী-কারকদের সংগঠন বিজিএমইএ]
3) মালিকের টিআইএন সার্টিফিকেট;
৪) মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র;
5) মালিকের পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
6) ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট;
7) ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন সার্ফিকেট এর কপি;
আপনার প্রতিষ্ঠান যদি পার্টনারশিপ ফার্ম হয়, তাহলে পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টের কপি;
আপনার প্রতিষ্ঠান যদি লিমিটেড কোম্পানি হয় তাহলে আরজেএসসি কর্তৃক অনুমোদিত মেমোরান্ডাম অফ এসোসিয়েশন, আর্টিকেলস্ অফ এসোসিয়েশন এবং সার্টিফিকেটস্ অফ ইন-করপরেশনের কপি।
কোম্পানীর পরিচালকদের নাম, ঠিকানার, কোম্পানীর নামে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন সার্ফিকেট ইত্যাদি।
এবং সরকার নির্ধারিত কোডে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি এর টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে অথবা সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় জমা প্রদানের পর জমার রশিদ।
আই আর সি এবং ই আর সি লাইসেন্সের জন্য কত টাকা ফিস দিতে হয়-
ফিস এর তালিকা আপনারা স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন, এই ফিস বিভিন্ন সময়ে আপডেট হয়ে কম-বেশি হতে পারে এবং এর সাথে ১৫% ভ্যাট ও অন্যান্ন শুল্ক যুক্ত হতে পারে, তাই সঠিক ফিস এর পরিমান জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ভিজিট করুন বা অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই আবেদন অফ-লাইন এবং অনলাইনে দুই ভাবেই করা যায়।
অফলাইনে করার ক্ষেত্রে আমাদানী ও রপ্তানী নিয়ন্ত্রকের প্রধান কার্যালয় ঢাকা থেকে কিংবা আপনার সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কার্যালয় গিয়ে নির্ধারিত ফর্মে যাবতীয় সাপোর্টিং ডকুমেন্টের কপি সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে।
আর অনলাইনে করার ক্ষেত্রে সি সি আই ই এর ওয়েব এপ্লিকেশনের লগিন করে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট করে যাবতীয় সাপোর্টিং ডকুমেন্টস্গুলো স্ক্যান ঙ্করে আপলোড করে সাবমিট করতে হবে।
সবকিছু
ঠিক থাকলে সাধারনত ২-৩ এর ভেতর আইআরসি বা ইআরসি সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।
Comments
Post a Comment